Report
সাপ মরল না, লাঠিও ভাঙল না। সেই পথ বেছে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। হুট করে সফর বাতিল করার পর সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাচ্ছে তারা। কিন্তু সফরের সূচি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ যেন অনিশ্চয়তায় পড়ে না যায়। সবগুলো ওয়ানডেই তারা খেলবে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে।
১৭ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর—এটাই ছিল পাকিস্তানের পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচি। যে সফর নিয়ে কম নাটক হয়নি। প্রথমে শোনা গেল, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ রূপ নিচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজে, যেখানে খেলতে আগ্রহী ওয়েস্ট ইন্ডিজও। পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিত করার পর এই প্রস্তাবিত ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পর ত্রিদেশীয় সিরিজ তো বটেই, জিম্বাবুয়ে সফরটাও বাতিল করে তারা।
পাকিস্তানের বারবার ছক বদল নিয়ে সমালোচনা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ কম হয়নি। অবশেষে আজ পিসিবি নিশ্চিত করল জিম্বাবুয়ে সফরে তারা যাচ্ছে। তবে সিরিজটা হবে দ্বিপক্ষীয়। ২৬ সেপ্টেম্বর সিরিজের প্রথম ম্যাচ হলেও পাকিস্তান প্রথমে খেলবে দুটো টি-টোয়েন্টি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর। এই তারিখে শীর্ষে থাকা আট দলই সুযোগ পাবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজটি খেলবে অক্টোবরের শুরুতে। তখন আর কোনো শঙ্কা নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটো ওয়ানডেতে হারলে পাকিস্তান আবার নেমে যাবে নয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠে আসবে আটে।
কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেটি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করেই জিম্বাবুয়েতে যাচ্ছে পাকিস্তান।